var T24pgnsN = { menusystembengali : " "+ "এই পাতার জায়গাসমূহঃ-
"+ "পেজ মেনু দেখতে ক্লিক করুন"+ " •বাওয়ালি"+ " •আছিপুর "+ " •চন্দ্রকেতুগড়
", menusystemenglish : " "+ "Places in This Page:-
"+ "Click To See Page Menu"+ " •Bawali"+ " •Achipur "+ " •Chandraketugarh
", menusystemhindi : " "+ "इस पृष्ठ के स्थान:-
"+ "उस पेज मेनू पर क्लिक करें"+ " •बावली"+ " •अचीपुर "+ " •चंद्रकेतुगढ़
", bawalibengali : "বাওয়ালিঃ-বাংলার জমিদাররা একসময় অত্যন্ত ধনী ও সুবিধাভোগী শ্রেণীর অন্তর্গত ছিলেন, যা আজ কল্পনাও করা যায় না। তারা নবাব, ঠাকুর ও অভিজাত সম্প্রদায় হিসাবে চিহ্নিত ছিলেন ও অত্যন্ত বিলাসবহুল জীবন-যাপন করতেন। এরকমই এক পরিবারের নাম মণ্ডল, যারা প্রায় ৪০০ বছর আগে বাওয়ালিতে রাজত্ব করতেন। দিল্লীর সম্রাট আকবরের এক আর্মি অফিসার, শোভা রাম রাই, বিভিন্ন কৃষক আন্দোলন ও জলদস্যুদের পরাস্ত করে দেশে শান্তি ফিরিয়ে আনেন। তাঁর কাজের পুরস্কার স্বরূপ, বাংলাদেশের একদম কোণে, প্রায় তিন লক্ষ একর জমি দান করেন। শোভা রাম রাই আদতে উত্তরপ্রদেশের লোক, কিন্তু তাঁকে মণ্ডল উপাধিতে ভূষিত করা হয়। জায়গাটা তখন জলাভূমি, ম্যানগ্রোভ অরণ্যে ভর্তি ও বাঘদের বিচরণস্থল ছিল। অর্থাৎ সুন্দরবনের একটা অংশ ছিল। আর এইসব লোককথা, এক প্রজন্ম থেকে আর এক প্রজন্মে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এখানকার স্থানীয় মানুষজন ছিলেন বাউলি গোষ্ঠীর। তাদের মূল জীবিকা ছিল, মাছ ধরা ও মধু সংগ্রহ করা। তাঁরা পুজো করতেন বন বিবির। কিন্তু মণ্ডলরা ছিলেন কৃষ্ণভক্ত। তাঁরা প্রথমে একটা রাধাকান্ত জীউ মন্দির স্থাপন করেন। আস্তে আস্তে তাঁদের বাড়ি-ঘর, মন্দির মিলিয়ে এলাকাটা প্রায় একটা গ্রামের আকার নেয়। তার মধ্যে ২৫০ বছর আগে তৈরি রাজবাড়ি, স্থাপত্যের এক সেরা নিদর্শন। এই অসামান্য স্থাপত্য, প্রায় ১৭০ বছর ধরে মহান রাজাদের বিলাসবহুল জীবন, বিভিন্ন অনুষ্ঠান, পুজো, অত্যাচার, ষড়যন্ত্র, যুদ্ধ, ভালবাসা, ব্যবসা আবার কলা সমৃদ্ধ নিদর্শনের সাথে সাথে, বহু বিশিষ্ট মানুষজনদেরও দেখেছে। কিন্তু স্বাধীনতার পর জমিদারী প্রথা বিলুপ্ত হবার সাথে সাথে, জমিদারদের স্বর্ণযুগের পতন হয়। ফলে রাজবাড়িও অব্যবহার্য হয়ে পড়তে খাকে। অনেক বংশধরই অন্য জায়গায় গিয়ে, স্থায়ীভাবে বসবাস করতে থাকেন। কিছু বংশধর চেষ্টা করেন, রাজবাড়ির পুরানো ঐতিহ্যকে রক্ষা করতে। তখন বিভিন্ন ফ্লিম শুটিং বা মুভি দেখানোর জন্যে রাজবাড়ি ভাড়া দিতেন। এই প্রচেষ্টা অচিরেই নষ্ট হয়ে যায়, কারণ রক্ষণাবেক্ষণের বিপুল খরচ বহন করা তাঁদের পক্ষে অসম্ভব হয়ে পড়ে। তখন অজয় রাওয়ালা নামে এক ব্যবসায়ী, এই রাজবাড়িকে হোটেল তৈরির জন্যে প্রস্তাব দেয়। তাতে রাজবাড়ির বসবাসকারীরা রাজি হন, ও তখন থেকে রাজবাড়ি হোটেলে পরিণত হয়। আগে ভিতরে গিয়ে দেখার অনুমতি দিলেও, এখন ব্যাপারটা অসভ্যতার পর্যায়ে চলে গেছে। এমনকি কাছ থেকে গেটের ছবিও তুলতে দেয় না। আমার সঙ্গে অন্তত এমনটাই হয়েছে। আর গ্রামের মানুষজনদের বক্তব্য, বিভিন্ন ক্ষমতাবান ব্যক্তি ও প্রভাবশালী রাজনৈতিক চরিত্র, এখানে আসার ফলে, এই জায়গার সংজ্ঞা পাল্টে যাচ্ছে। গ্রামের মানুষের কাছে তাই এখন এই রাজবাড়ি-হোটেল এক চিন্তার বিষয়।"+ "Read More..."+ "
"+ "  🔊  "+ "
"+ "  🎞️
"+ "স্লাইডশোর জন্যে নীচের ছবিতে ক্লিক করুন ⇩"+ "
"+ "পেজ মেনুতে যান ⇧", bawalienglish : "Bawali:-The landlords of Bengal once belonged to a very rich and privileged class, which is unimaginable today. They were identified as Nawabs, Thakurs and aristocrats and lived a very luxurious life. One such family is called Mandal, who ruled in Bawali about 400 years ago. Sobha Ram Rai, an army officer of Emperor Akbar of Delhi, brought peace back to the country by defeating various peasant movements and pirates. As a reward for his work, Akbar donated about three lakh acres of land in the far corners of Bangladesh. Shobha Ram Rai is originally from Uttar Pradesh, but he was awarded the title of Mandal. The place was then a wetland, filled with mangrove forests and a place for tigers to roam. That was a part of the now-Sundarbans. And these folktales are being passed down from one generation to another. The local people here belonged to the Bauli group. Their main livelihood was fishing and collecting honey. They used to worship Bon Bibi. But the Mandals were Krishna devotees. They first set up a Radhakanta Jiu temple. Gradually their houses, temples and the area became almost a village. Among them, the palace built 250 years ago, is one of the best examples of architecture. This magnificent architecture has seen the luxurious life of great landlords for almost 160 years, various ceremonies, worships, tyrannies, conspiracies, wars, love, business and art-rich specimens, as well as many eminent people. But with the abolition of landlord system after independence, the golden age of landlords fell. As a result, the palace also becomes unusable. Many descendants move to other places and live there permanently. Some descendants tried to preserve the old tradition of the palace. Then they used to rent the palace for shooting various films or showing movies. This effort soon fails, as it becomes impossible for them to bear the huge cost of maintenance. Then a businessman named Ajay Rawala proposed to the members of the palace owner to build a hotel. The residents of Rajbari agreed to this, and from then on Rajbari became a hotel. Earlier the hotel allowed going inside, but now the matter has gone to the stage of rudeness. They do not even allow me to take pictures of the front gate. At least that's what happened to me. According to the people of the village, various powerful people and influential political figures are coming here regularly, and as a result of which, the definition of this place is slowly changing. So now this palace-hotel is a matter of concern to the people of the village. "+ "Read More..."+ "
"+ "  🔊  "+ "
"+ "  🎞️
"+ "Click any Picture for Slide Show ⇩"+ "
"+ "Go To Page Menu ⇧", bawalihindi : "बावली:-बंगाल के ज़मींदार कभी बहुत धनी और विशेषाधिकार प्राप्त वर्ग के थे, जिसकी आज कल्पना भी नहीं की जा सकती। उनकी पहचान नवाब, ठाकुर और कुलीन वर्ग के रूप में थी और वे बेहद विलासितापूर्ण जीवन जीते थे। ऐसा ही एक परिवार मंडल था, जिसने लगभग 400 साल पहले बावली में शासन किया था। दिल्ली के बादशाह अकबर के एक सेनापति शोभा राम राय ने विभिन्न किसान आंदोलनों और समुद्री लुटेरों को हराकर देश में शांति स्थापित की। उनके इस कार्य के लिए अकबर ने बांग्लादेश के सुदूर कोनों में लगभग तीन लाख एकड़ ज़मीन दान में दी थी। शोभा राम राय मूल रूप से उत्तर प्रदेश के रहने वाले थे, लेकिन उन्हें मंडल की उपाधि दी गई थी। यह स्थान उस समय एक आर्द्रभूमि था, जहाँ मैंग्रोव के जंगल और बाघों के विचरण का स्थान था। यह वर्तमान सुंदरवन का एक हिस्सा था। और ये लोककथाएँ एक पीढ़ी से दूसरी पीढ़ी तक पहुँचती आ रही हैं। यहाँ के स्थानीय लोग बावली समूह के थे। उनकी मुख्य आजीविका मछली पकड़ना और शहद इकट्ठा करना था। वे बॉन बीबी की पूजा करते थे। लेकिन मंडल कृष्ण भक्त थे। उन्होंने सबसे पहले राधाकांत जीउ मंदिर की स्थापना की। धीरे-धीरे उनके घर, मंदिर और इलाका लगभग एक गाँव बन गया। इनमें 250 वर्ष पूर्व निर्मित महल स्थापत्य कला के सर्वोत्तम उदाहरणों में से एक है। इस भव्य स्थापत्य कला ने लगभग 160 वर्षों तक महान जमींदारों के विलासी जीवन, विभिन्न समारोहों, पूजा-पाठ, अत्याचारों, षडयंत्रों, युद्धों, प्रेम, व्यापार और कला-समृद्ध नमूनों के साथ-साथ अनेक प्रतिष्ठित लोगों को भी देखा है। लेकिन स्वतंत्रता के बाद जमींदारी प्रथा के उन्मूलन के साथ ही जमींदारी का स्वर्णिम काल समाप्त हो गया। परिणामस्वरूप, महल भी अनुपयोगी हो गया। कई वंशज अन्य स्थानों पर चले गए और वहाँ स्थायी रूप से रहने लगे। कुछ वंशजों ने महल की पुरानी परंपरा को संरक्षित करने का प्रयास किया। तब वे विभिन्न फिल्मों की शूटिंग या चलचित्र दिखाने के लिए महल को किराए पर देते थे। यह प्रयास शीघ्र ही विफल हो जाता है, क्योंकि उनके लिए रखरखाव का भारी खर्च वहन करना असंभव हो जाता है। तब अजय रावला नामक एक व्यापारी ने महल मालिक के सदस्यों के समक्ष एक होटल बनाने का प्रस्ताव रखा। राजबाड़ी के निवासी इस पर सहमत हो गए, और तब से राजबाड़ी एक होटल बन गया। पहले होटल में अंदर जाने की अनुमति थी, लेकिन अब मामला बदहाली की हद तक पहुँच गया है। वे मुझे मुख्य द्वार की तस्वीरें भी नहीं लेने देते। कम से कम मेरे साथ तो यही हुआ। गाँव के लोगों के अनुसार, यहाँ कई प्रभावशाली लोग और राजनीतिक हस्तियाँ नियमित रूप से आती रहती हैं, और इसी वजह से इस जगह की पहचान धीरे-धीरे बदल रही है। इसलिए अब यह महल-होटल गाँव के लोगों के लिए चिंता का विषय बन गया है। "+ "Read More..."+ "
"+ "  🔊  "+ "
"+ "  🎞️
"+ "स्लाइड शो के लिए नीचे दी गई छवि पर क्लिक करें ⇩"+ "
"+ "पेज मेनू पर जाएँ ⇧", photobawali : ""+ ""+ ""+ ""+ ""+ ""+ ""+ ""+ ""+ "", achipurbengali : "অছিপুরঃ-অছিপুর একটা চিনা কলোনি, যা এক চিনা ব্যবসাদার টং অছির নামে করা হয়েছে। অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষভাগে টং অছি দক্ষিণ বজবজে, হুগলী নদীর তীরে একটা চিনিকল তৈরি করেন। টংয়ের পুরানো ইতিহাস খুব একটা পাওয়া যায় না, তবে তিনি একজন চায়ের ব্যবসাদার ছিলেন বলে জানা যায়। তখন ভারতের শাসনকর্তা ছিলেন, অত্যন্ত নৃশংস চরিত্রের কুখ্যাত গভর্নর জেনারেল ওয়ারেন হেস্টিংস। সেই সময় চিনা শাসকরা বিদেশীদের কোনভাবেই তাঁদের দেশে প্রবেশ করতে দিতেন না, বিশেষত ইউরোপিয়ানদের। কিন্তু হেস্টিংস দেখেছিলেন, যে চিনে একটা বড় ব্যবসার সুযোগ আছে। তাই ১৭৭৮ সালে তৎকালীন সাম্রাজ্যবাদী ব্রিটিশ সরকারের প্রতিনিধির কাছে, টং যখন বাৎসরিক ৪৫ টাকা ভাড়ায় ৬৫০ বিঘে জমির জন্য আবেদন করেন, তখন তা সাথে সাথে অনুমোদন করা হয়। উদ্দেশ্য ছিল, টংকে দিয়ে চিনে ব্যবসার পটভূমি তৈরি করা। টং চিনিকলের কাঁচামাল যোগানের জন্যে এই জায়গায় আখের ক্ষেত তৈরি করেন। তবে তাঁর এই ব্যবসা স্থায়ী হয় না। নদীর জলে আখের ক্ষেত নষ্ট হয়ে যাওয়া, ও চিনিকল পুরানো হয়ে যাওয়ার ফলে, সমস্ত কিছু বন্ধ হয়ে যায় ও এলাকাটা পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে। চিনা সম্প্রদায়ের মানুষজন, যারা ঐ চিনিকলের ওপর নির্ভরশীল ছিলেন, তাঁরা অন্য এলাকায় গিয়ে বসবাস করতে শুরু করেন, বিশেষত কলকাতার টেরিটি বাজার, বৌবাজার ইত্যাদি এলাকায়। একা শুধু পড়ে থাকে, ১৭১৮ সালে তৈরি চিনা মন্দির। বর্তমানে অছিপুরে শুধু মন্দির ও টং অছির কবর দেখা যায়, বাকি সবই কালের প্রবাহে শেষ হয়ে গেছে। তবে অছিপুরের কাছে গঙ্গার সৌন্দর্য সবাইকে মুগ্ধ করবেই। "+ "Read More..."+ "
"+ "  🔊  "+ "
"+ "  🎞️
"+ "স্লাইডশোর জন্যে নীচের ছবিতে ক্লিক করুন ⇩"+ "
"+ "পেজ মেনুতে যান ⇧", achipurenglish : "Achipur:-Achipur is a Chinese colony named after a Chinese trader, Tong Achi. In the late eighteenth century, Tong Achi built a sugar mill on the banks of the Hooghly River in the southern Budgebudge. The history of Tong is not very well known, but he is known to have been a tea merchant. The then ruler of India was Warren Hastings, the infamous Governor General of extremely brutal character. At that time, the Chinese rulers did not allow foreigners, especially Europeans, to enter their country. But Hastings saw that there was a big business opportunity in China. So in 1778, when Tong applied for 750 bighas of land at an annual rent of 45 rupees, to the representative of the then imperialist British government, it was immediately approved. The purpose was to create a Chinese business background with Tong. Tong set up a sugarcane field in this place to supply the raw material of the sugar mill. However, his business was not long-lasting. As the sugarcane fields were destroyed by the river water, and the sugar mill became old, everything was shut down and the area was abandoned. The people of the Chinese community, who were dependent on the sugar mill, moved to other areas, especially in the Territe Bazaar, Baubazar, etc. of Kolkata. The only thing left is the Chinese temple built in 1817. At present only the temple and the tomb of Tong Achi can be seen in Achipur, all the rest are gone in course of time. However, the beauty of the Ganges near Achipur will fascinate everyone. "+ "Read More..."+ "
"+ "  🔊  "+ "
"+ "  🎞️
"+ "Click any Picture for Slide Show ⇩"+ "
"+ "Go To Page Menu ⇧", achipurhindi : "अचीपुर:-अचीपुर एक चीनी उपनिवेश है जिसका नाम एक चीनी व्यापारी, तोंग अची के नाम पर रखा गया था। अठारहवीं शताब्दी के उत्तरार्ध में, तोंग अची ने दक्षिणी बजबज में हुगली नदी के तट पर एक चीनी मिल का निर्माण किया। तोंग का इतिहास बहुत प्रसिद्ध नहीं है, लेकिन यह ज्ञात है कि वह एक चाय व्यापारी थे। भारत के तत्कालीन शासक वॉरेन हेस्टिंग्स थे, जो अत्यंत क्रूर चरित्र के कुख्यात गवर्नर जनरल थे। उस समय, चीनी शासक विदेशियों, विशेष रूप से यूरोपीय लोगों को अपने देश में प्रवेश करने की अनुमति नहीं देते थे। लेकिन हेस्टिंग्स ने देखा कि चीन में व्यापार का एक बड़ा अवसर था। इसलिए 1778 में, जब तोंग ने तत्कालीन साम्राज्यवादी ब्रिटिश सरकार के प्रतिनिधि के समक्ष 45 रुपये वार्षिक किराए पर 750 बीघा जमीन के लिए आवेदन किया, तो उसे तुरंत मंजूरी मिल गई। उद्देश्य तोंग के साथ एक चीनी व्यापारिक पृष्ठभूमि बनाना था नदी के पानी से गन्ने के खेत नष्ट हो गए और चीनी मिल पुरानी हो गई, इसलिए सब कुछ बंद हो गया और इलाका वीरान हो गया। चीनी मिल पर निर्भर चीनी समुदाय के लोग दूसरे इलाकों में चले गए, खासकर कोलकाता के टेरिट बाजार, बाउबाजार आदि में। अब केवल 1817 में बना चीनी मंदिर ही बचा है। वर्तमान में अचिपुर में केवल मंदिर और तोंग अचि का मकबरा ही दिखाई देता है, बाकी सब समय के साथ लुप्त हो गए। हालाँकि, अचिपुर के पास गंगा की सुंदरता सभी का मन मोह लेगी। "+ "Read More..."+ "
"+ "  🔊  "+ "
"+ "  🎞️
"+ "स्लाइड शो के लिए नीचे दी गई छवि पर क्लिक करें ⇩"+ "
"+ "पेज मेनू पर जाएँ ⇧", photoachipur : ""+ ""+ ""+ ""+ ""+ ""+ ""+ ""+ ""+ "", chandraketugarhbengali : "চন্দ্রকেতুগড়–সিন্ধু সভ্যতার সমসাময়িক একটা ধ্বংসপ্রাপ্ত সভ্যতা-পুরানো আখ্যান যখন কাউকে ভীষণভাবে আকর্ষণ করে, নিশা-স্বপ্ন যখন চলমান জীবনের মধ্যে আস্তে আস্তে সৃষ্টি করে অস্তিত্বহীন, কিন্তু অত্যন্ত অন্তরঙ্গ নতুন এক অনুভব, যখন পুরানো অতীত কাউকে ইশারা করে তার স্বাদ নেবার জন্যে, তখন সে সুযোগ পাওয়া যায় কলকাতা থেকে ৫০ কি.মি. দূরে অবস্থিত হাড়োয়ার কাছে চন্দ্রকেতুগড়ের ধ্বংসস্তূপ থেকে। পুরানো ইতিহাস, বিশেষত খননকার্যের ফলে যে সমস্ত ঐতিহাসিক সভ্যতা খুঁজে পাওয়া যায়, তা আমাকে বেশ আকর্ষণ করে, তা সে আমার জ্ঞান-গম্মি যাই থাক না কেন। আমি কেমন যেন রূপকথার গল্পের মতো, কোন এক অলীক কল্পনায় হারিয়ে যাই। ব্রিটিশ প্রত্নতাত্ত্বিক অ্যালবার্ট হেনরি লংহার্স্ট, ১৯০৭ সালে বেড়াচাঁপায় একটা ঢিপির ওপর খননকার্য চালান, ও সেখান থেকে বেরিয়ে আসে, চতুর্থ থেকে দ্বাদশ শতাব্দীর গুপ্ত রাজত্বের অত্যন্ত পুরানো এক সভ্যতার নিদর্শন। চন্দ্রকেতুগড় একটা তিন স্কো. কি.মি. এলাকা, যেখানে রয়েছে কয়েকটা ছোট ছোট গ্রাম যেমন দেউলিয়া, হাদিপুর, ঝিকরা, সানপুকুর, বেড়াচাঁপা, সিংহেরাতি ইত্যাদি। এলাকাটা, ভাগীরথী নদীর একটা ধারা, বিদ্যাধরী নদীর খুব কাছেই অবস্থিত। একসময় চন্দ্রকেতুগড় একটা বর্ধিষ্ণু জনপদ ছিল। খননকার্যের ফলে, এখান থেকে বিভিন্ন রকমের টেরাকোটার কাজ সমৃদ্ধ হস্তনির্মিত জিনিসপত্র পাওয়া যায়, যার মধ্যে মানুষের প্রতিকৃতি, খেলনা, শিলমোহর, পুঁতি, পাথরের শব্দ করার জিনিস, শিশু সমেত মহিলার প্রতিকৃতি, জন্তু-জানোয়ারের প্রতিকৃতি, স্থানীয় আচার ও বুদ্ধের জাতকের প্রতিকৃতি ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। তবে পরিচর্যার অভাবে, তার বেশির ভাগই, কিছু মানুষের ব্যক্তিগত সম্পত্তি হয়ে যায়। কেউ কেউ তা সংরক্ষণ করেন ও কেউ কেউ তা বিভিন্ন ভাবে বিক্রি করে দেন। যারা সংরক্ষণ করেন, তাঁদের মধ্যে দিলীপ কুমার মাইতি ও আসাদ উজ জাম্মান উল্লেখযোগ্য। এনাদের হাত থেকে এইসব প্রত্নতাত্ত্বিক সংগ্রহ নিয়ে, সরকার একটা সংগ্রহশালা তৈরি করেছেন। স্থানীয় লোককথা অনুযায়ী, চন্দ্রকেতুগড় নামটা এসেছে, পুরাণে উল্লিখিত মধ্যযুগের হিন্দু রাজা চন্দ্রকেতু থেকে, যার সাথে সৌদি আরবের জেড্ডা শহরের এক মুসলিম ধর্মপ্রচারক, পীর গোরাচাঁদের এক ভয়ঙ্কর যুদ্ধ হয়েছিল। কিন্তু তার কোনও প্রমাণ নেই। তবে খড়গপুর আই.আই.টি-র গবেষণা বিভাগের সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী, গ্রীক পর্যটক মেগাস্থিনিস এখানকার যে রাজার নাম করেছেন, তা মৌর্য সাম্রাজ্যের চন্দ্রগুপ্ত নয় কিন্তু চন্দ্রকেতু, যার ফোর্ট রয়েছে চন্দ্রকেতুগড়ে। আলেকজান্ডারের মৃত্যুর পর, মেগাস্থিনিস, সেলুকাসের দূত হিসাবে ভারতে আসেন খৃষ্টপূর্ব তৃতীয় শতাব্দীতে। তিনি তাঁর ইণ্ডিকা গ্রন্থে এটা উল্লেখ করেন যে, চন্দ্রকেতু গঙ্গাঋদ্ধি রাজ্যের একজন অত্যন্ত ক্ষমতাশালী রাজা ছিলেন ও তাঁর রাজ্যের বিস্তৃতি ছিল গাঙ্গেয় ত্রিভুজ ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে, বা এককথায় অঙ্গ, বঙ্গ কলিঙ্গে। গ্রিক ঐতিহাসিকদের মতে, আলেকজান্ডার তার ভারতবর্ষ অভিযান থেকে সরে এসেছিলেন, কারণ তাহলে তাকে গঙ্গাঋদ্ধি আক্রমণ করতে হতো। আলেকজান্ডার আশঙ্কা করছিলেন, গঙ্গাঋদ্ধি সাম্রাজ্য আক্রমণ করার পরিণতি হবে ভয়াবহ। এত কিছু সত্যেও, পুরো খননকার্য, কোনও এক অজ্ঞাত কারণে আজ অব্দি করা হয়নি। নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ ডঃ অমর্ত্য সেন বলেন, পুরো খননকার্য করা হলে এটা একটা প্রাচীন সভ্যতাকে নির্দেশ করবে। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডঃ সুগত বসু বলেন, পুরো খননকার্য হলে হয়ত দেখা যেত, চন্দ্রকেতুগড় ময়ূরা রাজত্বেরও আগের কোনও সভ্যতা, ও বাংলার ইতিহাস সেক্ষেত্রে অন্যভাবে লেখা হতো। "+ "Read More..."+ "
"+ "  🔊  "+ "
"+ "  🎞️
"+ "স্লাইডশোর জন্যে নীচের ছবিতে ক্লিক করুন ⇩"+ "
"+ "পেজ মেনুতে যান ⇧
", chandraketugarhenglish : "Chandraketugarh, a ruined civilization contemporary with the Indus Valley Civilization:-When the old story attracts someone, the hallucination slowly creates a non-existent, but very intimate new feeling in the ongoing life, when the old past hints at someone to taste it; he gets a chance to see from the ruins of Chandraketugarh near Haroa, just by travelling 50 km from Kolkata. Old history, especially all the historical civilizations that have been discovered as a result of excavations, fascinates me, no matter what my knowledge is. It's as if I'm lost in a fantasy, like a fairy tale. Albert Henry Longhurst, a British archaeologist, excavated a mound at Berachampa in 1908, and came out of it with a specimen of a very old civilization of the Gupta dynasty of the fourth to twelfth centuries. Chandraketugarh is a three sq. Km. area, where there are a few small villages like Deulia, Hadipur, Jhikra, Sanpukur, Berachampa, Singherati etc. The area, a tributary of the Bhagirathi River, is very close to the Vidyadhari River. At one time Chandraketugarh was a prosperous town. As a result of the excavations, a wide variety of terracotta handicrafts have been found here, including human portraits, toys, seals, beads, stone sounding objects, portraits of women with children, animal portraits, local customs and Buddha portraits. But for the lack of care, most artifacts become the private property of some people. Some saved the artifacts and some sold those in different ways. Among those who saved were Dilip Kumar Maiti and Asad Uz Zaman. With the archeological collections from these people, government has built a museum. According to local folklore, the name Chandraketugarh comes from the mythical medieval Hindu king Chandraketu, with whom Pir Gorachand, a Muslim missionary from Jeddah, Saudi Arabia, fought a fierce battle. But there is no proof of that. However, according to the latest information from the research of Kharagpur IIT, the king’s name mentioned by the Greek tourist Megasthenes, is not the Mauryan Emperor Chandragupta, but Chandraketu, whose fort is situated at Chandraketugarh. After Alexander's death, Megasthenes came to India as an ambassador of Seleucus in the third century BC. He mentioned in his Indica treatise that, Chandraketu was a very powerful king of the Gangariddhi kingdom and that his kingdom extended to the Gangetic triangle and the adjoining region or in other words, to Anga, Banga Kalinga. According to Greek historians, Alexander withdrew from his expedition to India, because he had to attack the Gangariddhi. Alexander feared that the consequences of invading the Gangariddhi Emperor would be terrible. In spite of all these facts, the whole excavation has not been completed till today for some unknown reason. Nobel laureate economist Dr Amartya Sen said, the entire excavation would point to an ancient civilization. Dr. Sugat Basu, a professor at Harvard University, said, if the whole excavation had been done, it might have been seen that Chandraketugarh was a civilization before the Mauryan kingdom, and in that case the history of Bengal would have been written differently. "+ "Read More..."+ "
"+ "  🔊⇾  "+ "
"+ "  🎞️
"+ "Click any Picture for Slide Show ⇩"+ "
"+ "Go To Page Menu ⇧", chandraketugarhhindi : "चंद्रकेतुगढ़, सिंधु घाटी सभ्यता के समकालीन एक खंडहर सभ्यताः-পजब पुरानी कहानी किसी को आकर्षित करती है, तो मतिभ्रम धीरे-धीरे चल रहे जीवन में एक अस्तित्वहीन, लेकिन बहुत अंतरंग नई भावना पैदा करता है, जब पुराना अतीत किसी को इसका स्वाद लेने का संकेत देता है; उसे कोलकाता से सिर्फ 50 किमी की यात्रा करके हरोआ के पास चंद्रकेतुगढ़ के खंडहरों से देखने का मौका मिलता है। पुराना इतिहास, विशेष रूप से खुदाई के परिणामस्वरूप खोजी गई सभी ऐतिहासिक सभ्यताएं, मुझे रोमांचित करती हैं, चाहे मेरा ज्ञान कुछ भी हो। ऐसा लगता है जैसे मैं किसी परीकथा की तरह एक कल्पना में खो गया हूं। ब्रिटिश पुरातत्वविद् अल्बर्ट हेनरी लॉन्गहर्स्ट ने 1908 में बेराचंपा में एक टीले की खुदाई की, और इसमें से चौथी से बारहवीं शताब्दी के गुप्त वंश की एक बहुत पुरानी सभ्यता का नमूना निकाला। चंद्रकेतुगढ़ तीन वर्ग किमी में फैला है। क्षेत्र, जहां देउलिया, हादीपुर, झिकरा, सानपुकुर, बेराचम्पा, सिंघेराटी आदि जैसे कुछ छोटे गांव हैं। यह क्षेत्र, भागीरथी नदी की एक सहायक नदी, विद्याधरी नदी के बहुत करीब है। एक समय में चंद्रकेतुगढ़ एक समृद्ध शहर था। खुदाई के परिणामस्वरूप, यहां मानव चित्र, खिलौने, मुहरें, मोती, पत्थर की ध्वनि करने वाली वस्तुएं, बच्चों के साथ महिलाओं के चित्र, पशु चित्र, स्थानीय रीति-रिवाज और बुद्ध चित्रों सहित विभिन्न प्रकार की टेराकोटा हस्तशिल्प पाए गए हैं। लेकिन देखभाल की कमी के कारण, अधिकांश कलाकृतियां कुछ लोगों की निजी संपत्ति बन जाती हैं। कुछ ने कलाकृतियों को बचा लिया और कुछ ने उन्हें विभिन्न तरीकों से बेच दिया। बचाने वालों में दिलीप कुमार मैती और असद उज ज़मान थे। इन लोगों के पुरातात्विक संग्रह के साथ, सरकार ने एक संग्रहालय बनाया है। स्थानीय लोककथाओं के अनुसार, चंद्रकेतुगढ़ नाम पौराणिक मध्यकालीन हिंदू राजा चंद्रकेतु से आया है, जिनके साथ सऊदी अरब के जेद्दा से आए एक मुस्लिम मिशनरी पीर गोराचंद ने भीषण युद्ध लड़ा था। लेकिन इसका कोई प्रमाण नहीं है। हालाँकि, खड़गपुर आईआईटी के शोध से मिली नवीनतम जानकारी के अनुसार, यूनानी पर्यटक मेगस्थनीज द्वारा उल्लिखित राजा का नाम मौर्य सम्राट चंद्रगुप्त नहीं, बल्कि चंद्रकेतु है, जिनका किला चंद्रकेतुगढ़ में स्थित है। सिकंदर की मृत्यु के बाद, मेगस्थनीज तीसरी शताब्दी ईसा पूर्व में सेल्यूकस के राजदूत के रूप में भारत आया था। उसने अपने इंडिका ग्रंथ में उल्लेख किया है कि, चंद्रकेतु गंगारिद्धि साम्राज्य का एक बहुत शक्तिशाली राजा था और उसका राज्य गंगा त्रिकोण और आसपास के क्षेत्र या दूसरे शब्दों में, अंग, बंग कलिंग तक फैला हुआ था। यूनानी इतिहासकारों के अनुसार, सिकंदर भारत के अपने अभियान से इसलिए पीछे हट गया, क्योंकि उसे गंगारिद्धि पर आक्रमण करना था। सिकंदर को डर था कि गंगारिद्धि सम्राट पर आक्रमण करने के परिणाम भयानक होंगे। इन सभी तथ्यों के बावजूद, किसी अज्ञात कारण से आज तक पूरी खुदाई पूरी नहीं हो पाई है। नोबेल पुरस्कार विजेता अर्थशास्त्री डॉ. अमर्त्य सेन ने कहा कि पूरी खुदाई किसी प्राचीन सभ्यता की ओर इशारा करती है। हार्वर्ड विश्वविद्यालय के प्रोफेसर डॉ. सुगत बसु ने कहा कि अगर पूरी खुदाई की गई होती, तो शायद यह पता चलता कि चंद्रकेतुगढ़ मौर्य साम्राज्य से पहले की सभ्यता थी, और उस स्थिति में बंगाल का इतिहास अलग तरह से लिखा गया होता। "+ "Read More..."+ "
"+ "  🔊  "+ "
"+ "  🎞️
"+ "स्लाइड शो के लिए नीचे दी गई छवि पर क्लिक करें ⇩"+ "
"+ "
पेज मेनू पर जाएँ ⇧
", photochandraketugarh : ""+ ""+ ""+ ""+ ""+ ""+ ""+ ""+ ""+ "", headingbengali : "উত্তর চব্বিশ পরগনা", headingenglish : "24 PGNS (N)", headinghindi : "उत्तर चौबीस परगना", };